“ ক্ষুধাশুন্য জাতি গঠনে গ্রামীণ নারী ” এ প্রতিপাদ্য বিষয়ে গতকাল বুধবার আন্তর্জাতিক গ্রামীন নারী দিবস’২০২৩ পালিত হয়েছে।
এ উপলক্ষ্যে গ্রমীণ নারী কৃষকের পারিবারিক,সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানি স্বাীকৃতিদান-আমাদের করণীয় শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। জেলা সমাজসেবা কমপ্লেক্স মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন এআরডি’র প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান রেজভী ।
প্রধান অতিথি ছিলেন সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ পরিচালক আবু আব্দুল্লাহ মোঃ ওয়ালী উল্লাহ।
তিনি বলেন বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নারীর অবদান অনেক। কিছু কিছু ক্ষেত্রে পুরুষের চেয়ে বেশী। বিশেষ করে গ্রামীণ নারীদের। নারীরা গৃহস্থালির কাজের পাশাপাশি ঘরের বাইরেও সমান ভাবে কাজ করে থাকেন কিন্তু তাদের সেই মর্যাদা দেয়া হয় না। এ সকল নারীদের প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতির জন্য বে-সরকারী সংস্থা সমূহ আরো জেরালো কর্মসূচী গ্রহন করার জন্য তিনি আহবান জানান।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন মানবাধিকার ও উন্নয়ন সংস্থা “এআরডি’র নির্বাহী পরিচালক ইয়াসমিন জাহান। সেমিনারে আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবসের বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নারীদের ভ‚মিকা নিয়ে বিভিন্ন তথ্য ও দাবী সংবলিত প্রচারপত্র উপস্থাপন করেন এআরডি’র প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর জান্নাতুল ফেরদৌস। গ্রামীণ নারীদের বহুমাত্রিক ভ‚মিকা ও অবদান নিয়ে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আল মাহমুদ,মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন ভ‚ঞা , জেলা প্রতিনিধি বিটিভি ও দৈনিক ইত্তেফাক মোহাম্মদ আরজু মিয়া,স্বনির্ভর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্বাহী পরিচালক এস এম শাহীন, স্বপ্নতরীর নির্বাহী পরিচালক তাহের উদ্দিন ভ‚ইঁয়া, , বীর মুক্তিযুদ্ধা আলহাজ্ব মোঃ আবু হোরায়রাহ ও তথ্য সেবা কর্মকর্তা ইতি রানীদেবী,প্রমুখ।
উন্মুক্ত আলোচনায় অনান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ সোহরাব হোসেন, মহিলা অধিদপ্তরের জেন্ডার প্রোমোটার মারিয়া আজাদ, , এনসিটিএফ সভাপতি মোঃ সাইমুন মাহমুদ, নারী কৃষক কুলসুম বেগম ও শিক্ষক ফাহিমা সুলতানা প্রমূখ।
সেমিনারে আন্তর্জাতিক গ্রমীণ নারী দিবসে নারীদের পক্ষে ৫টি দাবী জানানোহয়।এ গুলো হচ্ছে দারিদ্র্য, ক্ষুধামুক্ত জাতিগঠনে এবং টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতে গ্রামীন নারী কৃষকদের শর্তহীনভাবে কৃষি ঋণ সুবিধা এবং তাদের মধ্যে খাসজমি বিতরণ করতে হবে।
গ্রামীণ নারীর ক্ষমতায়নে সমাজ ও পরিবারকে অবশ্যই তাদের দৃষ্টিভঙ্গি ও মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে হবে।ঐতিহাসিক ভাবে নারীরা মৎসজীবী হিসেবে কাজ করলেও তাদের পেশার স্বীকৃতি নেই।
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় উপক‚লবর্তী ও চরাঞ্চলের নারীদের বিশেষ সহায়তা দিতে হবে।গ্রামীণ নারী কৃষকের সরকারী প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতিদান।