ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে মুক্তিপণ না পেয়ে ফাতেহা আক্তার (৭) নামের এক শিশুকে হত্যা করেছে অপহরণকারীরা। গত সোমবার রাতে উপজেলার দরিয়াদৌলত ইউনিয়নের শুঁটকিকান্দি গ্রামের একটি ডোবা থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত ফাতেহা আক্তার ওই গ্রামের প্রবাস ফেরত বাছেদ মিয়ার মেয়ে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত নিহত শিশুর ফুপাতো ভাই দরিয়াদৌলত গ্রামের রাজ্জাক মিয়ার ছেলে নাজিম (১৯) ও শুঁটকিকান্দি গ্রামের মমিন মিয়ার ছেলে আলাউদ্দিনকে (২১) আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানায়, শিশুটি গত ৩০ আগস্ট বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। পরে পরিবারের সদস্যরা সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ করেও তার সন্ধান পাচ্ছিলেন না। এরই মধ্যে ফোন করে চার লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন অপহরণকারীরা। পরে অপহরণের বিষয়টি পুলিশ জানালে তারা তদন্ত শুরু করে। সোমবার সন্ধ্যায় প্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ দুই তরুণকে আটক করে। তাদের দুজনের ফোনে শিশুটিকে অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবি সংক্রান্ত চ্যাটিং (বার্তা আদান-প্রদান) পাওয়া যায়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে শিশুটিকে হত্যার পর ডোবার পানিতে লুকিয়ে রাখার কথা স্বীকার করেন। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাদের দেখানো ডোবা থেকে শিশু ফাতেহার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূরে আলম জানান, ঘাতক তরুণদের স্বীকারোক্তিতেই নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত শিশুর মা রুমি আক্তার বাদী হয়ে মামলা করেছেন। গ্রেফতার দু’জনকে আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।