ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার ২নং চান্দুরা ইউনিয়নের সাতগাঁও এলাকায় সরকারি বরাদ্দের অর্থ দিয়ে সংস্কারকৃত ইট সলিং রাস্তার ইট উঠিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে চান্দুরা ইউপি চেয়ারম্যান এ এম শামিউল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট জালালপুরের কামাল হোসেন নামে এক ব্যক্তি লিখিত অভিযোগ দেয়। অভিযোগপত্র বিষয়টি স্বীকার করে ইউএনও ইরফান উদ্দিন আহমেদ জানান, বিষয়টি প্রাথমিক পর্যায়ে দেখার জন্য উপজেলা প্রকৌশলীকে বলা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জানা যায়, উপজেলার সাতগাঁও এলাকা চেয়ারম্যানের বাড়ি হতে সাতগাঁও গুচ্ছগ্রাম পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য মাটি রাস্তাটি ইট সলিং ছিল। এরই মধ্যে ১৩শ মিটার রাস্তা এলজিইডির মাধ্যমে কার্পেটিং করা হয়েছে। রাস্তার বাকি ৭শ মিটার রাস্তার ইট সলিংয়ের ইট গুলো উঠিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান এ এম শামিউল হক চৌধুরী নিজ বাড়িতে নিয়ে স্টক করে রেখেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
আরো জানা গেছে, রাস্তাটি বিগত ২০২০-২১ অর্থবছরে ৩০০ মিটার ও ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১ হাজার মিটার। দুই অর্থ বছরে রাস্তার এক তৃতীয়াংশ ইতিমধ্যে কার্পেটিং করা হয়েছে। বাকি একাংশের ইট তুলে নিয়ে গেছেন চেয়ারম্যান।
এ ব্যাপারে এ এম শামিউল হক চৌধুরী বলেন, রাস্তার পাশে এক জায়গায় ইটগুলো রাখা ছিল পাবলিক কিছু ইট নিয়ে যাই। তারপরে ওইখান থেকে ইটগুলো সরিয়ে আমার বাড়ির সামনে ইটগুলো রেখে দেই। আমি কোন ইট আমার কোন কাজে ব্যবহার বা বিক্রি করি নাই। আমার বিরুদ্ধে কেউ ষড়যন্ত্র করেছে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ আশিকুর রহমান ভূঁইয়া সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বাড়িতে ইটগুলো আমরা পেয়েছি। চেয়ারম্যানকে বলেছি ৭-১০ দিনের ভিতর রাস্তার ইট রাস্তায় রেখে দিতে উনাকে বলে দিয়েছি। ইটগুলো যথাস্থানে প্রতিস্থাপন করার জন্য জানিয়ে দিয়েছি।