ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অটোপার্টসের দোকান থেকে ৯৮ বোতল ফেনসিডিলসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। আজ শুক্রবার রাতে ঢাকা-সিলেট মহসড়কের সদর উপজেলার খাঁটিহাতা বিশ্বরোডের পাশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সিএনজি অটোরিক্সা অটোটেম্পু শ্রমিক সমিতির সমাজকল্যান সম্পাদক ও বিশ্বরোড শাখার শ্রমিকলীগের সাবেক সদস্য সচিব মোঃ আরব আলী বক্স (৩৬) এর ফারিয়া অটো পার্টসের দোকানে অভিযান পরিচালনা করে ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার করা হয়। সে সরাইল উপজেলার পূর্ব কুট্টাপাড়া এলাকার মোঃ ঈমান আলীর ছেলে। অভিযান চালানোর সময় একই উপজেলার উচালিয়া পাড়ার উত্তরপাড়া এলাকার হারুন মিয়ার ছেলে মোঃ জুয়েল মিয়া (৩৩) ও জেলার সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়ােনর চান্দিহারা মধ্যপাড়া মনির মিয়ার ছেলে মোঃ দুলাল মিয়া (২৯) কে গ্রেফতার করে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া মাদকব্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. মিজানুর রহমান জানান, জেলার সদর উপজেলার খাঁটিহাতা বিশ্বরোডের পাশে শ্রমিক নেতা আরব আলী বক্স পার্টসের দোকান ‘ফারিয়া অটো পার্টস’ দোকানে পার্টসের আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে ফেনসিডিল বিক্রি করে আসছিল। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে আরব আলীর বক্সের পার্টের দোকানে অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করা হয়। পরে তার পার্টসের দোকান তল্লাসী করে ৯৮ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সে দীর্ঘ দিন ধরে তার নিজস্ব বাহিনী দিয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিশ্বরোড সিএনজি চালিত অটোরিক্সা থেকে চাঁদা উত্তোলন করে আসছিল। এই সুবাদে বিশ্বরোড মোড়ে ফেনসিডিল, গাঁজাসহ বিভিন্ন মাদক দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করে আসছিল। সে মাদকসহ হবিগঞ্জ ও জেলায় একাধিকবার গ্রেফতার হয়। ইতোপূর্বে মহাসড়কের বিশ্বরোড মোড়ে সিএনজি থেকে চাঁদা উত্তোলনের ঘটনায় বাকবিতন্ডা হয় খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুব রহমানের সাথে। এসময় সে হাইওয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে শারিরীক ভাবে নাজেহাল করে। খবর পেয়ে জেলা পুলিশ ওই ঘটনায় তাকে গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে জেলার সদর, সরাইলসহ বিভিন্ন স্থানে হত্যা মামলা, নারী নির্যাতন, মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে।