ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে অটোমেটিক ডায়ার রাইস মিলের কারণে জনজীবনে নেমে আসা দুর্ভোগ থেকে পরিত্রান পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভূক্তভোগী এলাকাবাসী। আজ শনিবার বিকেলে উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের খগিয়ালা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন আবু তাহের মার্কেট প্রাঙ্গণে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন দূর্গাপুর ইউনিয়নের খড়িয়ালা ১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি ওবায়দুল হক। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আশুগঞ্জ দূর্গাপুর ইউনিয়নের খড়িয়ালা গ্রামের প্রকৃতি ও পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করে স্থানীয় আলম ব্রাদার্স এগ্রো ফুড ও এস. আলম এগ্রো ফুড নামীয় দুটি অটোমেটিক ডায়ার রাইস মিল তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে ধানি জমির পাশে ও জনবহুল এলাকায় মিলগুলো পরিচালিত হচ্ছে। এতে স্থানীয় এলাকাবাসী মারাত্মক দুর্ভোগের মুখে পড়েছেন।
মিলগুলো থেকে নির্গত কালো ধোঁয়া, উড়ন্ত ছাই ও ধূলাবালির কারণে গ্রামের নারী-পুরুষ শিশুরা শ্বাসকষ্ট ও চোখের রোগসহ বিভিন্ন ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছেন। সে সাথে মিল থেকে নির্গত গরম পানি মিশ্রিত ছাই পাশ্বরবর্তী খালে ফেলায় খালের পানি বিষাক্ত হয়ে পড়ে। এসব বিষাক্ত পানি ধানি জমিতে ঢুকে পড়ে জমির ফসল চিটাসহ উর্বরতা নষ্ট হচ্ছে। এখন খালটির বেশিরভাগ অংশ ছাই মিশ্রিত পানিতে ভরাট হয়ে পড়ায় প্রভাব পড়েছে এলাকার জীব-বৈচিত্রের উপর। গ্রামবাসী মিল মালিকদের বার বার বিষয়টি সুরাহার জন্য জানালেও তারা তাতে কোন কর্ণপাত করেনি। বরং উল্টো গ্রামবাসীকে বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকী প্রদান করে বে-আইনীভাবে মিলের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এ ঘটনায় স্থানীয়রা জেলা প্রশাসক, পরিবেশ অধিদপ্তরকে লিখিত অভিযোগ দিলেও এর কোন প্রতিকার হয়নি। পরবর্তীতে গ্রামবাসী পরিত্রান পেতে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন। বক্তারা, অবিলম্বে দুভোর্গ হতে রেহাই পেতে স্থানীয় প্রশাসনের নিকট জোর দাবী জানান।
এসময় ইউপি সদস্য মোঃ ছাদির, সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ আবরু মিয়া, স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ শাহজাহান, মোঃ হানিফ মিয়া, মোঃ আব্দুল হাইসহ গ্রামবাসী উপস্থিত ছিলেন।