Brahmanbaria ০৮:১১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Last News :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ডায়াবেটিক সমিতির উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদায় প্রফেসর ডাঃ ইব্রাহিম এর ৩৫ তম মৃত্যু বার্ষিকী পালিত বিজয়নগরে হিন্দু থেকে সেচ্ছায় মুসলমান হলেন এক যুবক পৃথক ২টি অভিযানে হত্যা ও নাশকতা মামলার ২ জন পলাতক আসামীকে গ্রেফতার  ভুয়া র‌্যাব পরিচয়ে চাঁদাবাজি করার সময় গ্রেফতার ২ সারাদেশের শিক্ষকগণকে বল প্রয়োগ করে পদত্যাগ করানোর প্রতিবাদে নবীনগরে মানববন্ধন সরাইলে সাবেক গৃহায়ণ গণপূর্তমন্ত্রী ও ৩ এমপিসহ ৬৭ জনের নামে হত্যা মামলা আখাউড়ায় আনিসুল হক ও তাকজিল খলিফার বিচার দাবীতে মানববন্ধন ট্রাক্টরের সাথে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় মা ও মেয়ে নিহত উবায়দুল মোকতাদিরসহ সকল হত্যাকারীদেরকে গ্রেফতারে দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী মোকতাদিরের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় খুন ও গুমের মামলা

কসবায় স্ত্রী হত্যার ঘটনার স্বামীর ফাঁসির আদেশ

  • Reporter Name
  • Update Time : ১১:৩৯:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ অগাস্ট ২০২৩
  • ৮৪৫ Time View

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় যৌতুকের ঘটনায় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামী মোঃ রাসেল মিয়াকে মৃত্যুদন্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার সকালে জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগারের আদালত এ রায় দেন। পাশাপাশি তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানারও আদেশ দেয়া হয়। ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত রাসেল মিয়া জেলার কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর ইউপির চন্ডিদ্বার খিরনাল গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে। হত্যাকান্ডের পর থেকেই ঘাতক রাসেল পলাতক রয়েছে।

আদালতে দাখিল করা তদন্ত প্রতিবেদন ও নথিপত্র থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালে জেলার কুটি ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের কুদ্দুস মিয়ার মেয়ে সুমা আক্তার (২৫) কে বিয়ে করেন রাসেল মিয়া। বিয়ের সময় অটোরিকশাসহ প্রায় এক লক্ষ ২০ হাজার টাকার মালামাল ও এক ভড়ি ওজনের স্বর্ণের চেইন দেওয়া হয়। তবে বিয়ের পর থেকে রাসেল মিয়া বিভিন্ন সময় সুমাকে বাবার বাড়ি থেকে আরো টাকা এনে দিতে চাপ প্রয়োগ করছিল। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বিভিন্ন সময় কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে সুমার উপর অমানুষিক নির্যাতন চালালে সুমা বাবার বাড়িতে চলে যায়। এরপর থেকেই ক্ষুব্ধ ছিল স্বামী রাসেল। ২০১৫ সালের ৪ অক্টোবর সন্ধ্যার পর সুমা বাবার বাড়িতে রাতের খাবার পেয়ে এক ঘর থেকে অন্য ঘরে যাওয়ার সময় রাসেল এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতরত আহত করে পালিয়ে যায়।

পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সুমাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। ঘটনার পরদিন সুমার বাবা বাদি হয়ে কসবা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বেলাল হোসেন তদন্ত শেষে রাসেলকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, সুমাকে ক্ষুব্ধ হয়ে রাসেল তাকে হত্যা করেন।

এদিকে হত্যাকান্ডের পর থেকে রাসেল পলাতক থাকায় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছাড়া আসামী পক্ষের নিয়োজিত কোন আইনজীবী কেউ ছিল না।

রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের পুলিশ পরিদর্শক কাজি দিদারুল আলম।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Md Al Mamun

জনপ্রিয় খবর

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ডায়াবেটিক সমিতির উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদায় প্রফেসর ডাঃ ইব্রাহিম এর ৩৫ তম মৃত্যু বার্ষিকী পালিত

কসবায় স্ত্রী হত্যার ঘটনার স্বামীর ফাঁসির আদেশ

Update Time : ১১:৩৯:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ অগাস্ট ২০২৩

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় যৌতুকের ঘটনায় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামী মোঃ রাসেল মিয়াকে মৃত্যুদন্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার সকালে জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগারের আদালত এ রায় দেন। পাশাপাশি তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানারও আদেশ দেয়া হয়। ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত রাসেল মিয়া জেলার কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর ইউপির চন্ডিদ্বার খিরনাল গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে। হত্যাকান্ডের পর থেকেই ঘাতক রাসেল পলাতক রয়েছে।

আদালতে দাখিল করা তদন্ত প্রতিবেদন ও নথিপত্র থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালে জেলার কুটি ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের কুদ্দুস মিয়ার মেয়ে সুমা আক্তার (২৫) কে বিয়ে করেন রাসেল মিয়া। বিয়ের সময় অটোরিকশাসহ প্রায় এক লক্ষ ২০ হাজার টাকার মালামাল ও এক ভড়ি ওজনের স্বর্ণের চেইন দেওয়া হয়। তবে বিয়ের পর থেকে রাসেল মিয়া বিভিন্ন সময় সুমাকে বাবার বাড়ি থেকে আরো টাকা এনে দিতে চাপ প্রয়োগ করছিল। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বিভিন্ন সময় কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে সুমার উপর অমানুষিক নির্যাতন চালালে সুমা বাবার বাড়িতে চলে যায়। এরপর থেকেই ক্ষুব্ধ ছিল স্বামী রাসেল। ২০১৫ সালের ৪ অক্টোবর সন্ধ্যার পর সুমা বাবার বাড়িতে রাতের খাবার পেয়ে এক ঘর থেকে অন্য ঘরে যাওয়ার সময় রাসেল এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতরত আহত করে পালিয়ে যায়।

পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সুমাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। ঘটনার পরদিন সুমার বাবা বাদি হয়ে কসবা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বেলাল হোসেন তদন্ত শেষে রাসেলকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, সুমাকে ক্ষুব্ধ হয়ে রাসেল তাকে হত্যা করেন।

এদিকে হত্যাকান্ডের পর থেকে রাসেল পলাতক থাকায় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছাড়া আসামী পক্ষের নিয়োজিত কোন আইনজীবী কেউ ছিল না।

রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের পুলিশ পরিদর্শক কাজি দিদারুল আলম।