শাহিন আহমেদ সাজু: ক্ষমতায় যাওয়ার মোহে মরিয়া হয়ে উঠেছে বিএনপি-জামায়াত চক্র। এজন্য ধারাবাহিকভাবে তারা বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আসছে। জনসমর্থন হারানোর ভয়ে তারা এখন নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে আন্দোলন করার চাইতে দেশে উদ্ভূত নানা ইস্যুকেন্দ্রিক ক্ষুদ্র আন্দোলনের ওপর ভর করছে। তাদের দেউলিয়াপনা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার রূপসদী গ্রামের মমিন মিয়া নামে এক যুবলীগ নেতাকে হত্যার উদ্দেশ্যে অতর্কিতভাবে রোমহর্ষক কায়দায় হামলা চালায় বিএনপি জামায়াত ও শিবিরের ক্যাডার বাহিনী।
গত ২৩ জুলাই রবিবার বেলা আনুমানিক ১২ টার দিকে উপজেলার রূপসদী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের রাস্তায় রূপসদী গ্রামের বিএনপি – জামায়াত শিবিরের ক্যাডার শাহিন মাঝি ও দেলোয়ার বাহিনীর নেতৃত্বে কাশেম মিয়ার ছেলে খায়ের মাঝিসহ ১০/১২ জনের সংঙ্ঘবদ্ধ একটি দল একই গ্রামের প্রবাসী জয়নাল আবেদীন এর ছেলে যুবলীগ নেতা মমিন মিয়ার উপরে দেশিয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় এবং তাকে গুরুত্বর আহত করেন।
এলাকাবাসী ও থানা সূত্রে জানা যায়, বিএনপির নেতা জামায়াত শিবির এর ক্যাডার দেলোয়ার মাঝি এবং শাহিন বাহিনী গ্রামটি কে নষ্ট করে ফেলেছে। শুধু তাই নয় এই এলাকার যুব সমাজকে ধ্বংস করতে তারা একটি মাদক সেবনের আখড়া হিসেবে পরিণত করে ফেলেছে গ্রামটিকে। প্রতিদিন তাদের দ্বারা আড়াইহাজার, বাঞ্ছারামপুর, রূপসদী এবং মুরাদনগর রোডে নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকার মাদক বাণিজ্যের সিন্ডিকেট চক্র। এমন কি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন এই ক্যাডার বাহিনী। সমাজের একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে এই কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গেলে যুবলীগ নেতা মমিন মিয়ার উপর বিএনপি জামায়াত ও শিবিরের ক্যাডার শাহিন মাঝি ও দেলোয়ার বাহিনীর নেতৃত্বে হামলা চালায়। তাদের কঠিন বিচারের আওতায় আনার জোর দাবী জানান এলাকাবাসী।
প্রবাসী জয়নাল আবেদীনের ছেলে আহত যুবলীগ নেতা মমিন মিয়া বলেন,আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বিএনপি জামায়ত শিবিরের ক্যাডার বাহিনীর শাহিন মাঝি ও দেলোয়ার এর নেতৃত্বে খায়ের মাঝিসহ ১০-১২ জন দেশিয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে আমার উপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এসময় তারা ছুড়ি দিয়ে আমার মাথা ও হাতে আঘাত করে। আমি বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বাসীর অভিভাবক,মাটি ও মানুষের নেতা ক্যাপ্টেন এবি তাজুল ইসলাম এমপির কাছে আমার উপর হামলার বিচার চাই।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন,বিএনপির নেতা ও শাহিন বাহিনীর নেতৃত্বে যুবলীগ নেতার উপর হামলা চালায়। শাহিন মাঝির বিরুদ্ধে থানায় ১০ টি মামলা রয়েছে। সে বিভিন্ন অপরাধ ও মাদক কারবারির সাথে জড়িত। দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করার জন্য যুবলীগ নেতার উপরে এই হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে।
রূপসদী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিদন মিয়া বলেন,বিএনপির জামায়াত শিবিরের অপকর্ম ডাকতে যুবলীগ নেতার উপরে এই হামলা। আমরা শাহিন বাহিনী ও বিএনপির নেতা দেলোয়ার মাঝি ও খায়ের মাঝির শাস্তির দাবি জানাই। তাদের কে আইনের আওতায় আনা হউক।
পথচারী এবং হামলার প্রত্যক্ষদর্শী ফজরুল রহমান বলেন, আমি না থাকলে মমিন কে সন্ত্রাসীরা মেরে ফেলতো। আমি তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করি। আমার ঘরের ভিতরে নিয়ে তালা ও গেইট লাগিয়ে দেই। আমিও আঘাত পেয়েছি। মমিনের অবস্থা খুবই খারাপ দেখে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাই। সারা শরীর রক্তে ভিজে গেছে।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ সানজানা মেহজাবিন বলেন, রোগীর অনেক রক্তক্ষরণ হয়েছে। মাথায় একাধিক সেলাই লেগেছে হাত কেটে গেছে এখন আমাদের হসপিটালে ভর্তি।
বিএনপির নেতা দেলোয়ারর মাঝি বলেন, আমি এই ঘটনার সাথে জরিত নই। আমি ঢাকায় বৈধ ভাবে ব্যবসা করি।
হামলাকারী খায়রুল মাঝির সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নুরে আলম বলেন,আমাদের কাছে অভিযোগ দিয়েছে। আসামী ধরার জন্য পুলিশ মাঠে কাজ করছে। আশা করি দ্রুতই গ্রেফতার করতে সক্ষম হবো।