ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের কুমাড়শীল মোড়ে আলিফ জেনারেল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আরাফাত নামের এক শিশুকে হাসপাতালের ওটিবয় পলাশ ভুল এনেস্থিসিয়া ইনজেকশন পুশ করে হত্যার অভিযোগে জেলা সদর হাসপাতালের সার্জারীর জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. এসএম মামুন মোহর সহ ৬ জনের নাম উল্লেখ্য করে একটি মামলা হয়েছে। কিন্তু অপারেশন না করেও ডা. মামুন মোহরকে এই মামলার প্রধান আসামী করা হয়েছে।
জানা যায়, সদর উপজেলার থলিয়ারা গ্রামের প্রবাসী নাছির সওদাগরের ১৬ মাস বয়সের সন্তান আরাফাতকে ১০ জুন দুপুরে তার উরুতে অপারেশন করার জন্য আলিফ জেনারেল হাসপাতালে ডা. মামুন মোহরের অধীনে ভর্তি করা হয়। আনুমানিক সন্ধ্যা ছয়টার দিকে শিশুটিকে হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয় এবং ওটিবয় পলাশ শিশুটিকে ভুল এনেস্থিসিয়া ইনজেকশন পুশ করলে শিশুটির পুরো শরীরে খিঁচুনি ওঠে সাথে সাথেই মারা যায়। এর পরের দিন শিশুটির চাচা হারিজ মিয়া বাদি হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখ্য করে সদর মডেল থানায় একটি মামলা করেন। এ মামলার প্রধান আসামী করা হয় ডা. মামুন মোহরকে।
শিশুটির ব্যাপারে ও মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে ডা. মামুন মোহর বলেন, ১০ জুন শিশু আরাফাত ডান পায়ে ফোঁড়া নিয়ে তার কাছে চিকিৎসা নিতে আসে। পরে পরীক্ষা করানোর পর অপারেশনের মৌখিক সম্মতি নিয়ে হাসপাতালের ৪তলায় অপারেশন থিয়েটারের সামনে শিশুটিকে বসাতে এবং তিনি হাসপাতালের ওটি বয় পলাশকে যন্ত্রপাতি প্রস্তুত করতে বলেন। কিন্তু পলাশ অবৈধভাবে এনেস্থিসিয়া ইনজেকশন পুশ করে। এ ইনজেকশন শুধুমাত্র ডাক্তাররা রোগীদের দিতে পারেন অন্যকেউ ইনজেকশন দেওয়ার নিয়ম নেই। পলাশ ইনজেকশন পুশ করার পর শিশুটির খিঁচুনী ওঠে সাথে সাথেই মারা যায়। এঘটনাকে কেন্দ্র করে শিশুটির চাচা ডা. মামুন মোহরকে ১নম্বর আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
তিনি আরও বলেন, রোগীর লোক সব জানার পরও পলাশের নাম বাদ দিয়ে তাকে ১ নম্বর আসামী করে মামলার বিষয়টি উদ্দেশ্য প্রনোদিত ও মানহানিকর। তিনি তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং সুষ্ঠ তদন্তের দাবি করেন।
এ বিষয়ে বিএমএ’র সাধারণ সম্পাদক ও চিকিৎসক নেতা ডা. আবু সাঈদ জানান, মামুন মোহর শিশুটির অপারেশন না করেও তাকে হত্যা মামলার আসামী করা হয়েছে তা সত্যি দু:খজনক। তিনি তদন্ত ছাড়া শুধু রোগীর স্বজনদের অভিযোগের ভিত্তিতে চিকিৎসকদের গ্রেপ্তার ও হয়রানীর বন্ধের দাবি জানান।