ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে পরিবারের হাতে মার খেয়ে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাকপ্রতিবন্ধী এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আজ শুক্রবার প্রতিবন্ধী হেদায়েত উল্লার বাবাকে আটক করেছে পুলিশ। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বাকপ্রতিবন্ধী হেদায়েত উল্লাহ।
জানা যায়, কয়েক মাস পূর্বে হেদায়েত উল্লার বাবা-ভাই মিলে তার স্ত্রী রাকিবা আক্তার কে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। স্ত্রী রাকিবা আক্তার কে বাড়িতে আনার জন্য পরিবারের লোকজনের কাছে বিভিন্ন ভঙ্গিমায় চেষ্টা করলেও তারা তার স্ত্রীকে আনতে রাজি হয় নাই। এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ১৬ জুন পরিবারের লোকজনের সাথে তর্কবিতর্ক করে হেদায়েত উল্লাহ।তর্কবিতর্কের এব পর্যায়ে হেদায়েত উল্লাকে মারধর করে বাবা- ভাই সহ পরিবারের লোকজন।পরে আহত অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে নবীনগর হাসপাতালে ভর্তি করে।অবস্থা অবনতি হলে পরবর্তীতে ঢাকা নেওয়া হয়।গতকাল বৃহস্প্রতিবার সে মারা যায়।
তার স্ত্রী রাকিবা আক্তার বলেন,আমার স্বামী কে পরিবারের লোকজন নির্মমভাবে মারধর করে হত্যা করেছে। আমার একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।এখন আমি কি করবো আমার ছেলে সন্তান কে নিয়ে।আমি এর সঠিক বিচার চাই।
নবীনগর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মোহাম্মদ সোহেল বলেন,বৃহস্পতিবার রাতেই আমরা অভিযুক্ত মজিদ মোল্লাকে গ্রেফতার করে আজ শুক্রবার আদালতে পাঠায়।এঘটনায় নিহতের স্ত্রী রাকিবা আক্তার বাদী হয়ে মজিদ মোল্লা,তার স্ত্রী ও ছেলের নামোল্লেখ করে থানায় মামলা করেছেন।