কমিটি নিয়ে বিরোধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রদলের কমিটি নিয়ে দুই গ্রুপের গোলাগুলির ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ৩৫ নেতাকর্মীর নামে মামলা করেছে। এতে প্রধান আসামি করা হয়েছে জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক আবু শামীম মো. আরিফকে। সদর মডেল থানা পুলিশের এসআই শ্রীবাস চন্দ্র দাশ বাদী হয়ে ওই মামলা করেছেন। এছাড়া যুবদল নেতা ইয়াছিন মাহমুদকেও আসামি করা হয়। অজ্ঞাত আসামি করা হয় ৬৫ জনকে। তাদের মধ্যে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ এমরান উদ্দিন।
গত ৮ জুন মধ্যরাতে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদ জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জেলা ছাত্রদলের সাত সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয় শাহীনুর রহমান ও সদস্য সচিব সমীর চক্রবর্তীকে। এ কমিটি ঘোষণার পর জেলা ছাত্রদলের পদবঞ্চিত নেতারা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন। পরদিন সকালে হামলা চালানো হয় শহরের কান্দিপাড়ায় জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক আবু শামীম মো. আরিফের বাসায় (ভিপি শামীম)।
এরপর বিকেলে শহরের টিএ রোড ও পাওয়ার হাউস রোডে বিক্ষোভ মিছিল করে ছাত্রদলের পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা। মিছিল শেষে হামলা করা হয় কান্দিপাড়ায় জেলা ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক শাহীনুর রহমান ও কৃষকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক কাউন্সিলর কাউসার মিয়ার বাসভবনে। ভাঙচুর করা হয়। এ সময় নবঘোষিত কমিটির নেতারা পালিয়ে আত্মরক্ষা করেন। এরপর শনিবার রাতে ছাত্রদলের দুই গ্রুপ গুলির লড়াইয়ে লিপ্ত হয়। ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। দুই গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। পুলিশ একজনকে আটক করেছে। শনিবার রাত পৌন ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।