Brahmanbaria ০৮:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Last News :
আখাউড়ায় ভারতীয় নাগরিকসহ ২ জন আটক! ঢাকাস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সমিতির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন সভাপতি এম এ খালেক ও সম্পাদক শ্যামল  বিজয়নগরে পরকিয়ার নামে মিথ্যা প্রচারের দাবি ভুক্তভোগীর! ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডেলটা লাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানীর স্বামীর মৃত্যুর দাবীর চেক প্রধান ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সেতু এন্টারপ্রাইজ প্রাইজমানি ফুটবল টুর্নামেন্ট ফাইনালে কসবা বিজয়ী ভারতে যাওয়ার সময় মা-ছেলে আটক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহে আলোচনা  ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্ধার পূজা মন্ডবের পরিচালনা পরিষদের সাথে মতবিনিময় – ইন্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত 

নবীনগরে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে মাটি উত্তোলন,হুমকির মুখে ফসলি জমি

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৫:৩৯:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ জুন ২০২৩
  • ১০৬৩ Time View
জমির প্রকৃতি পরিবর্তন করা যাবে না’ এমন সরকারি নির্দেশ থাকলেও ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগর উপজেলার কাইতলা উত্তর ইউনিয়ন নারুই (ব্রাহ্মণহাতা) আলেয়া মাদ্রাসার উত্তর পাশে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে ফসলি জমি থেকে মাটি উত্তোলন করছেন প্রভাবশালী দুই ব্যাবসায়ী গণি মিয়া ও হানিফ মিয়া।ফসলি জমি থেকে মাটি উত্তোলন করায় গভীর গর্ত হয়ে জমি গুলো পুকুরে রুপান্তরিত হচ্ছে, যার ফলে পাশের জমি গুলো ভেঙ্গে হুমকির মুখে পড়েছে।
যে ভাবে ফসলি জমি কেটে মাটি উত্তোলনের হিড়িক চলছে,এতে দ্রুত অবৈধ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না নিলে আগামীতে খাদ্য ঘাটতিসহ ফসলি জমি হুমকির মুখে পড়বে এবং পাশের ফসলি জমির ক্ষতি হবে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,উপজেলার কাইতলা উত্তর ইউনিয়ন নারুই (ব্রাহ্মণবাহাতা) গ্রামের আলেয়া মাদ্রাসার উত্তর পাশে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ফসলি জমি থেকে মাটি উত্তোলন করা হচ্ছে।ফসলি জমির মাটি কেটে ফেলায় পাশের জমি গুলো ভেঙে যাচ্ছে।মাটি কাটার ফলে ফসলি জমি পুকুরে রুপান্তিত হয়েছে। প্রশাসনকে অবগত করা হলেও কোন উওর মিলছে না।
স্থানীয় বাসীন্দারা বলেন,নারুই ব্রাহ্মণহাতা গ্রামে দীর্ঘ দিন ধরে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ফসলি জমি থেকে মাটি উত্তোলন করছে প্রভাবশালী দুই ব্যাবসায়ী। যার ফলে আমাদের পাশের জমি গুলো হুমকির মুখে পড়েছে।আমরা প্রতিবাদ করলেও তারা আমাদের কে উল্টো হুমকি প্রদান করে। প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ফসলি জমি কেটে মাটি উত্তোলন করা হচ্ছে। তাদেরকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানান।
মাটি ব্যাবসায়ী গণি মিয়ার সাথে একাধীকবার মুঠোফেনে কথাবলার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি।
এ বিষয়ে মাটি ব্যাবসায়ী হানিফ মিয়া বলেন, আমরা প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে মাটি উত্তোলন করতেছি।একটি ফসলি জমি কেটে ভরাট করেছি আরো দুই থেকে তিনটা ভরাট করা হবে।
এ বিষয়ে নবীনগর সহকারি কমিশনার (ভূমি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা জাহান বলেন, আমি এবিষয়ে অবগত নই।এমন হয়ে থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Md Al Mamun

জনপ্রিয় খবর

আখাউড়ায় ভারতীয় নাগরিকসহ ২ জন আটক!

নবীনগরে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে মাটি উত্তোলন,হুমকির মুখে ফসলি জমি

Update Time : ০৫:৩৯:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ জুন ২০২৩
জমির প্রকৃতি পরিবর্তন করা যাবে না’ এমন সরকারি নির্দেশ থাকলেও ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগর উপজেলার কাইতলা উত্তর ইউনিয়ন নারুই (ব্রাহ্মণহাতা) আলেয়া মাদ্রাসার উত্তর পাশে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে ফসলি জমি থেকে মাটি উত্তোলন করছেন প্রভাবশালী দুই ব্যাবসায়ী গণি মিয়া ও হানিফ মিয়া।ফসলি জমি থেকে মাটি উত্তোলন করায় গভীর গর্ত হয়ে জমি গুলো পুকুরে রুপান্তরিত হচ্ছে, যার ফলে পাশের জমি গুলো ভেঙ্গে হুমকির মুখে পড়েছে।
যে ভাবে ফসলি জমি কেটে মাটি উত্তোলনের হিড়িক চলছে,এতে দ্রুত অবৈধ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না নিলে আগামীতে খাদ্য ঘাটতিসহ ফসলি জমি হুমকির মুখে পড়বে এবং পাশের ফসলি জমির ক্ষতি হবে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,উপজেলার কাইতলা উত্তর ইউনিয়ন নারুই (ব্রাহ্মণবাহাতা) গ্রামের আলেয়া মাদ্রাসার উত্তর পাশে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ফসলি জমি থেকে মাটি উত্তোলন করা হচ্ছে।ফসলি জমির মাটি কেটে ফেলায় পাশের জমি গুলো ভেঙে যাচ্ছে।মাটি কাটার ফলে ফসলি জমি পুকুরে রুপান্তিত হয়েছে। প্রশাসনকে অবগত করা হলেও কোন উওর মিলছে না।
স্থানীয় বাসীন্দারা বলেন,নারুই ব্রাহ্মণহাতা গ্রামে দীর্ঘ দিন ধরে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ফসলি জমি থেকে মাটি উত্তোলন করছে প্রভাবশালী দুই ব্যাবসায়ী। যার ফলে আমাদের পাশের জমি গুলো হুমকির মুখে পড়েছে।আমরা প্রতিবাদ করলেও তারা আমাদের কে উল্টো হুমকি প্রদান করে। প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ফসলি জমি কেটে মাটি উত্তোলন করা হচ্ছে। তাদেরকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানান।
মাটি ব্যাবসায়ী গণি মিয়ার সাথে একাধীকবার মুঠোফেনে কথাবলার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি।
এ বিষয়ে মাটি ব্যাবসায়ী হানিফ মিয়া বলেন, আমরা প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে মাটি উত্তোলন করতেছি।একটি ফসলি জমি কেটে ভরাট করেছি আরো দুই থেকে তিনটা ভরাট করা হবে।
এ বিষয়ে নবীনগর সহকারি কমিশনার (ভূমি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা জাহান বলেন, আমি এবিষয়ে অবগত নই।এমন হয়ে থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।