রাতের আঁধারে সুযোগ বুঝে ফল-ফলাদি চুরি করত এক দল চোর। সকাল বেলা গাছের মালিকরা গাছে তাদের ফল না পেয়ে চোরদের উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করতে থাকে। পরে নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে চিঠির মাধ্যমে মালিকের কাছে ক্ষমা চেয়েছে সংঘবদ্ধ চোরের দল। একইসঙ্গে চুরির ফল রাতের আঁধারে মালিকের বাড়িতে রেখে যায় তারা। এমনই এক আশ্চর্য ঘটনা ঘটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের বাউতলা গ্রামে। মালিকের বাড়িতে চুরি করা ফল পৌঁছে দেওয়া এবং চিঠির মাধ্যমে ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি নিয়ে এখন সব মহলে আলোচনা চলছে।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত কয়েকদিন ধরে বাউতলা গ্রামে পেঁপে, কলা, আমসহ নানা প্রকারের ফল চুরির ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। শখের বসে বাড়ির আশপাশে লাগানো নানা প্রকারের ফল-ফলাদি কে বা কারা চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন ফল-ফলাদি চুরি হওয়ায় অনেকের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। সর্বশেষ ঐ গ্রামের আবু তাহের মিয়ার মেয়ে আসমা আক্তার এবং সাদ্দাম হোসেনের বাড়ি থেকে কলা ও পেঁপে চুরি হয়।
এ নিয়ে আসমা আক্তার কষ্টে বকাঝকা করেন। বিষয়টি চোরের মনে নাড়া দেয়। তাই দুইদিন আগে রাতের কোনো এক সময় তার বারান্দায় চুরি হওয়া একটি পাকা কলার বড় কাদি রেখে যান। একইসঙ্গে তারা একটি চিঠিও দিয়ে যান।
ওই চিঠিতে চোরের দল উল্লেখ করে, আমরা আপনার কলা গাছ থেকে কলা চুরি করেছি। তাই আপনারা আমাদেরকে গালাগালি করেছেন। আমরা আমাদের ভুল বুঝতে পেরেছি। তাই আমাদের পরিমাণ মতো কলা খেয়ে বাকিটা আপনার জন্য নিয়ে এসেছি। আপনারা আমাদেরকে মাফ করে দেন। আর যদি গালাগালি করেন তাহলে বাকি কলা নিয়ে যাব।
সাদ্দাম হোসেন বলেন, বাড়িতে কোনো গাছের ফল-ফলাদি রাখা যাচ্ছে না। শখ করে বিভিন্ন জায়গা থেকে এনে কলা, পেঁপেসহ নানা প্রকারের ফলের গাছ লাগানো হয়। অনেক গাছে ফল এসেছে। কিন্তু কে বা কারা রাতের আঁধারে নিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, একটি চিঠি পাওয়ায় স্থানীয় ইউপি সদস্যের মাধ্যমে সন্দেহমূলক ছেলেদের হাতের লেখা দেখলে বুঝতে পারা যাবে এ কাজগুলো কারা করছে। সবার মাঝে কৌতূহল জেগেছে- গ্রামে এসব কারা করছে সে বিষয়ে জানার জন্য।
ইউপি সদস্য জিতু মিয়া বলেন, মৌসুমী ফল মানুষ শখ করে বাড়ির আশপাশে লাগিয়ে থাকেন। এসব চুরি করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা দুঃখজনক।