Brahmanbaria ০৭:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Last News :
ফখরে বাঙ্গাল ইসলামিয়া মাদ্রাসায় হাফেজ সামজিদের জন্যে দোয়ার আয়োজন  নেবাননে বৈরুতে বিমান হামলায় নিহত নিজামের বাড়িতে আহাজারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৫৫ তম জাতীয় সমবায় দিবস পালিত  নবীনগর উপজেলার রতনপুর ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে কর্মী সমাবেশ জেনেভা ক্যাম্পের শীর্ষ মাদক কারবারি ও সশস্ত্র গ্রুপের সন্ত্রাসী বুনিয়া সোহেল ও তার ১৪ জন সহযোগী গ্রেফতার  ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জনগোষ্ঠিকে দেশে এবং আন্তর্জাতিকভাবে যোগ্যতার প্রমান রাখতে হবে: জেলা প্রশাসক নবীনগরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত তরী বাংলাদেশ বিজয়নগরের পক্ষ থেকে পলিথিন নিষিদ্ধের লিফলেট বিতরণ সাবেক গণপূর্ত মন্ত্রীর ফাঁসির দাবীতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ ও সমাবেশ বড়াইলে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প মানবকল্যানই ছিলো জিয়াউর রহমানের প্রধান লক্ষ্য-সাঈদ

আখাউড়ায় ৫ কিলোমিটার সড়কে শত শত গর্ত

  • Reporter Name
  • Update Time : ১০:১০:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ মে ২০২৩
  • ১০২৭ Time View

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া থেকে বিজয়নগরের চান্দুরা পর্যন্ত সড়কের প্রায় ৫ কিলোমিটার আখাউড়া উপজেলায়। সড়কটি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা এলাকায় মিলিত হয়েছে। এ সড়ক দিয়ে আখাউড়া এবং বিজয়নগর উপজেলাসহ জেলা শহরের হাজার হাজার মানুষ যাতায়ত করে। প্রতিদিন শত শত সিএনজি, অটোরিক্সা, মাইক্রোসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে সড়ক দিয়ে। এছাড়া এ সড়ক ব্যবহার করে আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশন এবং আজমপুর রেলওয়ে ষ্টেশনে যাতায়াত করে শত শত ট্রেনযাত্রী। এ সড়কের আখাউড়া পৌরশহরের সড়ক বাজার থেকে উত্তরে সিঙ্গারবিল বাজার পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার সড়কে ছোট বড় শত শত গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং উঠে গেছে। গর্তের কারণে যানবাহন চলাচল করতে সমস্যা হয়। গর্তে পরে ঘটে ছোট বড় দূর্ঘটনা। বৃষ্টি হলে ওই সব গর্তে পানি জমে যান চলাচলে সমস্যা আরও বেড়ে যায়। দীর্ঘ দিন ধরে সড়কটির মেরামত না করায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। অসুস্থ রোগী এবং নারী-শিশুদের দুর্ভোগ সবচেয়ে বেশি। রাস্তাটির দ্রুত মেরামতের দাবী এলাকাবাসীর।
জানা গেছে, আখাউড়া উপজেলার উত্তর ইউনিয়নসহ বিজয়নগর উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের শত শত ছাত্রছাত্রী সিএনজি, অটোরিক্সা যোগে এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে। এছাড়া ওইসব ইউনিয়নের বাসিন্দারা চিকিৎসাসহ অন্যান্য কাজে জেলা সদরে আসা যাওয়া করে থাকে এ সড়ক দিয়ে। কিন্তু রাস্তায় খানা খন্দ আর গর্তের কারণে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে যাত্রীরা। দূর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালাতে হয় চালকদের। গর্তে পরে গাড়ির রিং, বিয়ারিংসহ যন্ত্রাংশ নষ্ট হচ্ছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সড়ক বাজার থেকে সিঙ্গারবিল বাজার পর্যন্ত অন্তত ২৫টি স্থানে কয়েক ’শ ছোট বড় গর্ত রয়েছে। সড়ক বাজার থেকে আজমপুর রেলওয়ে ষ্টেশন পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার সড়কের অবস্থা সবচেয়ে বেশি খারাপ।
আখাউড়া এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি সড়কটি মেরামতের জন্য পরিমাপ ও ব্যয়ের হিসাব করে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। আগামী দেড় থেকে দ্ইু মাসের মধ্যে কাজ শুরু হবার সম্ভাবনা রয়েছে। এর আগে ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে ১ কোটি ৩৩ লাখ টাকা ব্যয় করে রাস্তাটি মেরামত করা হয়। এরপর আর কাজ করা হয়নি।
সিএনজি চালক আলম মিয়া বলেন, গাড়ি চালাতে খুব কষ্ট হয়। হাতে ও বুকে-পীতে ব্যথা করে। একদিন চালালে পরের দিন আসতে মন চায় না। গর্তে পরে গারির রিং, বিয়ারিং নষ্ট হয়।
আজমপুরের বাসিন্দা ব্যবসায়ী কাউসার হোসেন বলেন, প্রতিদিন এসড়ক দিয়ে দু’বার আসা যাওয়া করি। গাড়ি চালাতে খুব কষ্ট হয়। বৃষ্টি হলে গর্তে পানি জমে সমস্যা আরও বেড়ে যায়। ভয় নিয়ে গাড়ি চালাতে হয়। তিনি সড়কটি দ্রুত মেরামতের দাবী জানান।
আখাউড়া উপজেলা প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম সুমন সড়কটির দুরাবস্থার কথা স্বীকার করে বলেন, সড়কটির কাজের পরিমাপ করে এলজিইডি ভবনে পাঠানো হয়েছে। আশা করি অল্প কিছু দিনের মধ্যে অনুমোদন হয়ে আসবে। তারপর জেলা নির্বাহী প্রকৌশলীর অফিস থেকে দরপত্র আহবান করা হবে। আগামী দেড় মাসের মধ্যে কাজ শুরু হয়ে যাবে বলে আশা করছি।

 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Md Al Mamun

জনপ্রিয় খবর

ফখরে বাঙ্গাল ইসলামিয়া মাদ্রাসায় হাফেজ সামজিদের জন্যে দোয়ার আয়োজন 

আখাউড়ায় ৫ কিলোমিটার সড়কে শত শত গর্ত

Update Time : ১০:১০:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ মে ২০২৩

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া থেকে বিজয়নগরের চান্দুরা পর্যন্ত সড়কের প্রায় ৫ কিলোমিটার আখাউড়া উপজেলায়। সড়কটি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা এলাকায় মিলিত হয়েছে। এ সড়ক দিয়ে আখাউড়া এবং বিজয়নগর উপজেলাসহ জেলা শহরের হাজার হাজার মানুষ যাতায়ত করে। প্রতিদিন শত শত সিএনজি, অটোরিক্সা, মাইক্রোসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে সড়ক দিয়ে। এছাড়া এ সড়ক ব্যবহার করে আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশন এবং আজমপুর রেলওয়ে ষ্টেশনে যাতায়াত করে শত শত ট্রেনযাত্রী। এ সড়কের আখাউড়া পৌরশহরের সড়ক বাজার থেকে উত্তরে সিঙ্গারবিল বাজার পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার সড়কে ছোট বড় শত শত গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং উঠে গেছে। গর্তের কারণে যানবাহন চলাচল করতে সমস্যা হয়। গর্তে পরে ঘটে ছোট বড় দূর্ঘটনা। বৃষ্টি হলে ওই সব গর্তে পানি জমে যান চলাচলে সমস্যা আরও বেড়ে যায়। দীর্ঘ দিন ধরে সড়কটির মেরামত না করায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। অসুস্থ রোগী এবং নারী-শিশুদের দুর্ভোগ সবচেয়ে বেশি। রাস্তাটির দ্রুত মেরামতের দাবী এলাকাবাসীর।
জানা গেছে, আখাউড়া উপজেলার উত্তর ইউনিয়নসহ বিজয়নগর উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের শত শত ছাত্রছাত্রী সিএনজি, অটোরিক্সা যোগে এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে। এছাড়া ওইসব ইউনিয়নের বাসিন্দারা চিকিৎসাসহ অন্যান্য কাজে জেলা সদরে আসা যাওয়া করে থাকে এ সড়ক দিয়ে। কিন্তু রাস্তায় খানা খন্দ আর গর্তের কারণে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে যাত্রীরা। দূর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালাতে হয় চালকদের। গর্তে পরে গাড়ির রিং, বিয়ারিংসহ যন্ত্রাংশ নষ্ট হচ্ছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সড়ক বাজার থেকে সিঙ্গারবিল বাজার পর্যন্ত অন্তত ২৫টি স্থানে কয়েক ’শ ছোট বড় গর্ত রয়েছে। সড়ক বাজার থেকে আজমপুর রেলওয়ে ষ্টেশন পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার সড়কের অবস্থা সবচেয়ে বেশি খারাপ।
আখাউড়া এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি সড়কটি মেরামতের জন্য পরিমাপ ও ব্যয়ের হিসাব করে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। আগামী দেড় থেকে দ্ইু মাসের মধ্যে কাজ শুরু হবার সম্ভাবনা রয়েছে। এর আগে ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে ১ কোটি ৩৩ লাখ টাকা ব্যয় করে রাস্তাটি মেরামত করা হয়। এরপর আর কাজ করা হয়নি।
সিএনজি চালক আলম মিয়া বলেন, গাড়ি চালাতে খুব কষ্ট হয়। হাতে ও বুকে-পীতে ব্যথা করে। একদিন চালালে পরের দিন আসতে মন চায় না। গর্তে পরে গারির রিং, বিয়ারিং নষ্ট হয়।
আজমপুরের বাসিন্দা ব্যবসায়ী কাউসার হোসেন বলেন, প্রতিদিন এসড়ক দিয়ে দু’বার আসা যাওয়া করি। গাড়ি চালাতে খুব কষ্ট হয়। বৃষ্টি হলে গর্তে পানি জমে সমস্যা আরও বেড়ে যায়। ভয় নিয়ে গাড়ি চালাতে হয়। তিনি সড়কটি দ্রুত মেরামতের দাবী জানান।
আখাউড়া উপজেলা প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম সুমন সড়কটির দুরাবস্থার কথা স্বীকার করে বলেন, সড়কটির কাজের পরিমাপ করে এলজিইডি ভবনে পাঠানো হয়েছে। আশা করি অল্প কিছু দিনের মধ্যে অনুমোদন হয়ে আসবে। তারপর জেলা নির্বাহী প্রকৌশলীর অফিস থেকে দরপত্র আহবান করা হবে। আগামী দেড় মাসের মধ্যে কাজ শুরু হয়ে যাবে বলে আশা করছি।