Brahmanbaria ০১:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৭ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Last News :
বিজয়নগরে মানব পাচারের অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা আওয়ামী লীগ এক নেতাকে গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সরাইলে অসহায় পরিবার পেল তারুণ্যের সংগঠনের গরু আখাউড়া উপজেলার শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক হলেন রফিকুল সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ও তার স্ত্রীকে আসামি করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আরো একটি মামলা  সৌদি আরবে এক বাংলাদেশিকে গলা কেটে হত্যা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তির কামনায় বিজয়নগর উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে প্রস্তুতি সভা  বিজয়নগরে সাড়ে ৪ কোটির অধিক মূল্যের ভারতীয় শাড়ীসহ ট্রাক আটক প্রেসক্লাব বিজয়নগর এর পক্ষ থেকে সদ্য বদলিকৃত ইউএনও এর বিদায় সংবর্ধনা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গভ. মডেল গার্লস হাইস্কুলে নানা অনিয়ম দুনীর্তির অভিযোগ

চেয়ারম্যানের অনিয়মের অভিযোগ করায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের সভা থেকে ৮ সদস্যকে বের করে দেয়া হয়েছে

  • Reporter Name
  • Update Time : ১২:২৮:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ৯৭৩ Time View

স্টাফ রিপোর্টার:ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আল মামুন সরকারের অনিয়মের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করার মাসিক সভা থেকে ৮ সদস্যকে বের করে দেয়া হয়েছে। রবিবার ১৯ ফেব্রুয়ারী জেলা পরিষদের তৃতীয় মাসিক সভায় এই ঘটনা ঘটে। বের করে দেওয়া জেলা পরিষদের সদস্যরা অভিযোগ করেন, সভার শুরুতে তার এক স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে নেয়া সিদ্ধান্তের রেজুলেশনে স্বাক্ষর করতে বলেন চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার। এতে রাজি না হওয়ায় চেয়ারম্যান তাদের সভা থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন। দুপুর সাড়ে ১২ টায় সভা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা শুরু হয় দেড়টায়। এরপর মিনিট ১৫ সভায় অংশ গ্রহন ছিল ৮ সদস্যের।  এসময় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান তার বিরুদ্ধে ৮ সদস্যদের মন্ত্রনালয়ে করা অভিযোগের নিন্দা প্রস্তাব গ্রহনের কথা বলেন। এই নিয়ে সদস্যদের সঙ্গে তার বাকবিতন্ডা হয়। এরপরই সদস্যরা সভা ছেড়ে বেড়িয়ে আসেন।
এদিকে সভাকে কেন্দ্র করে জেলা পরিষদে উত্তেজনা বিরাজ করে। এসময় পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়। সংরক্ষিত সদস্য বিউটি কানিজ জানান মিটিংয়ে যাওয়ার পর চেয়ারম্যান আমাদের বলেন, আমরা নাকি উপজেলা চেয়ারম্যান ও মেয়রদের অপমান করার জন্যে লজ্জাস্কর ইতিহাস তেরী করেছি। এটি নিন্দনীয় কাজ হয়েছে বলে তিনি আমাদেরকে এই ব্যাপারে নিন্দা জানাতে বলেন। এসময় আমরা নিন্দার বিষয়টি বাদ দিয়ে চেয়ারম্যানকে আমাদের কথা শুনতে বলি। তখন চেয়ারম্যান বলেন, কথা বলতে চাইলে আগে রেজুলেশনে স্বাক্ষর করেন, না হলে বেড়িয়ে যান। আপনাদের মিটিংয়ে এ্যাটেন্ড করার দরকার নেই। করতে বলা হচ্ছে, আমরা সেটি না করে বেড়িয়ে আসি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা থেকে নির্বাচিত পরিষদ সদস্য বাবুল মিয়া বলেন মিটিংয়ে যাওয়ার পর চেয়ারম্যান বিগত মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে আমাদের স্বাক্ষর দিতে বলেন। আমাদের কোন কথা শুনতে চাইছিলেন না। এই নিয়ে তার সঙ্গে আমাদের অনেক বাকবিতন্ডা হয়। চেয়ারম্যান তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের নিন্দা প্রস্তাব দিতে বলেন।
তবে এই ব্যাপারে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার একাধিকার ফোন করলে তিনি রিসিভ করেনি। তবে প্রধান নিবার্হী কর্মকর্তা (উপ-সচিব) মো. আমিনুল ইসলাম জানান চেয়ারম্যান সাহেব তাদের স্বাক্ষর করতে বলেছিল। কিন্ত তারা করেনি। তবে তাদের এই সমস্যা গুলো সমাধানের জন্য আমি উপজেলা চেয়ারম্যানদের বলেছি।
প্রসঙ্গত: জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আল মামুন সরকারের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগে গত ৯ ফেব্রুয়ারী  স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও সচিব বরাবর চেয়ারম্যান লিখিত অভিযোগ দেন পরিষদের ৮ সদস্য। তারা হচ্ছেন  ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বাবুল মিয়া, আখাউড়ার সাইফুল ইসলাম, সরাইলের পায়েল হোসেন মৃধা, নাসিরনগরের সামসুল কিবরিয়া, আশুগঞ্জের বিল্লাল মিয়া, বাঞ্ছারামপুরের আবুল কালাম আজাদ, বিজয়নগরের বাবুল আক্তার ও সংরক্ষিত সদস্য বিউটি কানিজ ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Md Al Mamun

জনপ্রিয় খবর

বিজয়নগরে মানব পাচারের অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

চেয়ারম্যানের অনিয়মের অভিযোগ করায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের সভা থেকে ৮ সদস্যকে বের করে দেয়া হয়েছে

Update Time : ১২:২৮:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

স্টাফ রিপোর্টার:ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আল মামুন সরকারের অনিয়মের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করার মাসিক সভা থেকে ৮ সদস্যকে বের করে দেয়া হয়েছে। রবিবার ১৯ ফেব্রুয়ারী জেলা পরিষদের তৃতীয় মাসিক সভায় এই ঘটনা ঘটে। বের করে দেওয়া জেলা পরিষদের সদস্যরা অভিযোগ করেন, সভার শুরুতে তার এক স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে নেয়া সিদ্ধান্তের রেজুলেশনে স্বাক্ষর করতে বলেন চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার। এতে রাজি না হওয়ায় চেয়ারম্যান তাদের সভা থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন। দুপুর সাড়ে ১২ টায় সভা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা শুরু হয় দেড়টায়। এরপর মিনিট ১৫ সভায় অংশ গ্রহন ছিল ৮ সদস্যের।  এসময় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান তার বিরুদ্ধে ৮ সদস্যদের মন্ত্রনালয়ে করা অভিযোগের নিন্দা প্রস্তাব গ্রহনের কথা বলেন। এই নিয়ে সদস্যদের সঙ্গে তার বাকবিতন্ডা হয়। এরপরই সদস্যরা সভা ছেড়ে বেড়িয়ে আসেন।
এদিকে সভাকে কেন্দ্র করে জেলা পরিষদে উত্তেজনা বিরাজ করে। এসময় পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়। সংরক্ষিত সদস্য বিউটি কানিজ জানান মিটিংয়ে যাওয়ার পর চেয়ারম্যান আমাদের বলেন, আমরা নাকি উপজেলা চেয়ারম্যান ও মেয়রদের অপমান করার জন্যে লজ্জাস্কর ইতিহাস তেরী করেছি। এটি নিন্দনীয় কাজ হয়েছে বলে তিনি আমাদেরকে এই ব্যাপারে নিন্দা জানাতে বলেন। এসময় আমরা নিন্দার বিষয়টি বাদ দিয়ে চেয়ারম্যানকে আমাদের কথা শুনতে বলি। তখন চেয়ারম্যান বলেন, কথা বলতে চাইলে আগে রেজুলেশনে স্বাক্ষর করেন, না হলে বেড়িয়ে যান। আপনাদের মিটিংয়ে এ্যাটেন্ড করার দরকার নেই। করতে বলা হচ্ছে, আমরা সেটি না করে বেড়িয়ে আসি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা থেকে নির্বাচিত পরিষদ সদস্য বাবুল মিয়া বলেন মিটিংয়ে যাওয়ার পর চেয়ারম্যান বিগত মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে আমাদের স্বাক্ষর দিতে বলেন। আমাদের কোন কথা শুনতে চাইছিলেন না। এই নিয়ে তার সঙ্গে আমাদের অনেক বাকবিতন্ডা হয়। চেয়ারম্যান তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের নিন্দা প্রস্তাব দিতে বলেন।
তবে এই ব্যাপারে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার একাধিকার ফোন করলে তিনি রিসিভ করেনি। তবে প্রধান নিবার্হী কর্মকর্তা (উপ-সচিব) মো. আমিনুল ইসলাম জানান চেয়ারম্যান সাহেব তাদের স্বাক্ষর করতে বলেছিল। কিন্ত তারা করেনি। তবে তাদের এই সমস্যা গুলো সমাধানের জন্য আমি উপজেলা চেয়ারম্যানদের বলেছি।
প্রসঙ্গত: জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আল মামুন সরকারের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগে গত ৯ ফেব্রুয়ারী  স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও সচিব বরাবর চেয়ারম্যান লিখিত অভিযোগ দেন পরিষদের ৮ সদস্য। তারা হচ্ছেন  ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বাবুল মিয়া, আখাউড়ার সাইফুল ইসলাম, সরাইলের পায়েল হোসেন মৃধা, নাসিরনগরের সামসুল কিবরিয়া, আশুগঞ্জের বিল্লাল মিয়া, বাঞ্ছারামপুরের আবুল কালাম আজাদ, বিজয়নগরের বাবুল আক্তার ও সংরক্ষিত সদস্য বিউটি কানিজ ।